বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব‍্যাহত বাঁকুড়ায়

2nd September 2020 2:09 pm বাঁকুড়া
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব‍্যাহত বাঁকুড়ায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : ফের গেরুয়া শিবিরে ভাঙন।  বাঁকুড়ায় এবার বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়ল বিজেপি।  বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্যর পর এবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন বিজেপি র জেলা ও ব্লক স্তরের একদল নেতা ও কর্মী।  আজ বাঁকুড়ার তৃনমূল ভবনে নবাগতদের হাতে তৃনমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃনমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।  বিজেপি ছেড়ে এদিন তৃনমূলে যোগ দেন বিজেপি র প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনিল বরণ ঘোষ, জেলা কমিটির তিন সদস্য বাবলু মাদ্রিজ, স্বপন কুমার দাস ও মহিমা রঞ্জন ব্যানার্জী। এছাড়াও বিভিন্ন ব্লকের ও গন সংগঠনের ১২ জন বিজেপি নেতা ও শতাধিক কর্মী এদিন তৃনমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তৃনমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, বিজেপি মানুষের পাশে নেই।  গরীব মানুষের জন্য তাঁরা কোনো কাজ করেনি।  নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা জাতপাতের দ্বন্দ লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ আজ বুঝতে পারছেন বিজেপি বাংলায় এলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন সাধারন মানুষ।  সেকারনেই আজ ফলে দলে মানুষ বিজেপির পতাকা ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমাদের দলে এসে যোগ দিচ্ছেন। আমাদের দলে তাঁদের যোগ্য সম্মান দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছি।  বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনিল বরণ ঘোষ এদিন তৃনমূলে যোগ দিয়ে বলেন, বিজেপি দলের অভ্যন্তরে কোনো গনতন্ত্র নেই। একতরফা ভাবে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রের সরকার জোর করে জাতীয় শিক্ষা নীতি চাপিয়ে দিয়েছে। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার জনপ্রতিনিধি হয়েও মানুষের কোনো খবর রাখেন।  দলের নেতা কর্মীদের খবর রাখারও তিনি কোনো প্রয়োজন মনে করেন না। বিজেপির সর্বস্তরে শুরু হয়েছে উপদলীয় কোন্দল। আর এসবের প্রতিবাদ স্বরুপ আমরা বিজেপি ছেড়ে আজ তৃনমূলে যোগ দিলাম। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।